ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের লুটপাটের টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি

আপলোড সময় : ২৩-০৯-২০২৪ ০৩:১৩:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৭-১০-২০২৪ ০৫:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন
​ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের লুটপাটের টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি
বাংলা স্কুপ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন ডেসকোর পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ। একইসঙ্গে, ওইসব কর্মকর্তারা যে অর্থ লোপাট করেছে, তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। 
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে দাবিসংবলিত চিঠি দিয়েছে পরিষদ। 
বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদের সমন্বয়ক জিহাদুল হক তালুকদার জানান, গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চিঠিটি উপদেষ্টা মহোদয়কে দেওয়া হয়েছে। ডেসকোতে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেসকোর পরিচালক, কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি দুর্নীতি, অনিয়ম ও শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের সাথে জড়িত। যার ফলে পাওয়ার সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি ডেসকো প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা আর্থিক লোকসান গুনছে। বিগত স্বৈরশাসকের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা পত্রিকার কাটিংসহ সংযুক্ত করা হলো। 

ডেসকোর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা হলেন- নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল, নির্বাহী পরিচালক (সংগ্রহ) এ কে এম মহিউদ্দীন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান স্বাধীনসহ প্রমুখ। এরা সবাই সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মদদপুষ্ট বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরো বলা হয়, এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বিগত স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, যা বর্তমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং শহীদদের সাথে চরম প্রতারণা। অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ডেসকোর গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ, দুর্নীতির তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা, শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও লোপাটকৃত অর্থ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জোরালো দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ আরো অভিযোগ করে, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে কিছু সংখ্যক সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাকে বছরের পর বছর অফিসিয়াল পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এমনকি সিনিয়র কর্মকর্তাদের অধিকতর জুনিয়রদের অধীনে চাকরি করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমতাবস্থায় পদবঞ্চিত সেই সেই সব কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদসমূহে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পদোন্নতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানানো হয়।

ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ